জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission) আয়োজিত দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে মঙ্গলবার (১৭ জুন) জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) কোনো প্রতিনিধি অংশ নেয়নি। তবে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জামায়াত আগামীকাল সংলাপে যোগ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
এই প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মন্তব্য করেছেন, “জামায়াত হয়তো আজকের মিটিং প্রতীকীভাবে বয়কট করেছে। কারণ, দু-একটি দলকে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্যের আলোচনাকে নির্দিষ্ট কিছু দলের দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন আশঙ্কাও রয়েছে জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দলের।”
রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের বাইরে থাকা গোষ্ঠীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি
নুরুল হক নুর আরও বলেন, “আমরা যারা এখানে রাজনৈতিক দল হিসেবে আছি, তাদের বাইরেও কিন্তু অনেক গোষ্ঠী রয়েছে যারা গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে—যেমন সাংবাদিক, চিকিৎসক, পেশাজীবী সংগঠন। তাদেরও মতামত নেওয়া জরুরি।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আজ আমরা বলছি যে, এতগুলো দল ঐকমত্য পোষণ করেছে—এই দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত? কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় জনগণের সার্বিক মত প্রতিফলন করে না। আবার নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত দলের প্রশ্নও থেকেই যায়।”
প্রেক্ষাপট
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তারা আগামীকাল বৈঠকে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে। সংলাপে বিএনপি, এনসিপি, সিপিবি, বাসদ, খেলাফত মজলিসসহ প্রায় ৩০টি দল অংশ নেয়, তবে জামায়াতের প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।