আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য ১০০টি সংরক্ষিত আসন রাখার বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলী রীয়াজ (Ali Riaz)। মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission) আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নারী আসন নিয়ে একমত রাজনৈতিক দলগুলো
আলী রীয়াজ বলেন, “নারী আসনের বিষয়টি নিয়ে দু’একটি দল বাদে কেউই ভিন্নমত পোষণ করেনি। তবে কীভাবে নারীরা এই সংরক্ষিত আসনে সংসদে আসবেন, সে পদ্ধতি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।”
সংবিধান সংশোধন ও কমিটি কাঠামোতেও অগ্রগতি
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তনের বিষয়েও আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অর্থবিল ও আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক হবে।
একইসঙ্গে তিনি জানান, সংসদের গুরুত্বপূর্ণ চারটি কমিটি—পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (Public Accounts Committee), প্রিভিলেজ কমিটি (Privilege Committee), এস্টিমেশন কমিটি (Estimation Committee) এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি (Public Undertaking Committee)—এসব কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে সংখ্যানুপাতে দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট
সংবিধানের ৯৫(১) (Article 95(1)) এবং ৪৮(৩) (Article 48(3)) অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিবর্তনের বিষয়ে আংশিক ঐকমত্য হয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তবে এ বিষয়ে আরও আলোচনা করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া তিনি বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাবেও একটি নীতিগত ঐকমত্য গঠিত হয়েছে, যদিও কিছু দল এতে আপত্তি জানিয়েছে। তারপরও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে।
জামায়াতে ইসলামী অনুপস্থিত
এ বৈঠকে কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ জানান, “আমরা সবসময় সব দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি যাতে সবাই অংশ নিতে পারে। আজ হয়তো তারা উপস্থিত থাকতে পারেনি, তবে আশা করছি আগামীকালের বৈঠকে তারা বা তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।”
