জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission) আয়োজিত দ্বিতীয় ধাপের মুলতবি সংলাপে অংশ নিয়েছে জামায়াতে ইসলামি (Jamaat-e-Islami)। বুধবার (১৮ জুন) সকালে দলটির তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে।
জামায়াতের প্রতিনিধিদল ও উপস্থিত নেতারা
জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (Syed Abdullah Mohammad Taher)। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান (Rafiqul Islam Khan) এবং হামিদুর রহমান আযাদ (Hamidur Rahman Azad)।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (National Citizens’ Party – NCP) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) ও এবি পার্টির (AB Party) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু (Mojibur Rahman Monju) সহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা।
বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের সৌহার্দ্য বিনিময়
সংলাপস্থলে আগে উপস্থিত হন জামায়াত ও এনসিপির প্রতিনিধিরা। পরে সংলাপস্থলে আসেন বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ (Salahuddin Ahmed)। তিনি আগমনের পর প্রথমেই জামায়াতের সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি নাহিদ ইসলামের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং তাহেরকেও নাহিদের সঙ্গে কোলাকুলির জন্য আহ্বান জানান। তাহের ও নাহিদ পরস্পর কোলাকুলি করেন।
সংলাপে জামায়াতের অবস্থান
সকালেই হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সংলাপে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করেছি।”
মঙ্গলবারের সংলাপে কেন তারা উপস্থিত ছিলেন না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা সংলাপস্থলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।”
লন্ডন বৈঠক ও জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন জামায়াতের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)। সেখানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। জামায়াত দাবি করে, এই ঘোষণায় দলটিকে ‘উপেক্ষা’ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবারের সংলাপ তারা বয়কট করে।
তবে পরে সরকার পক্ষ থেকে জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং লন্ডনের বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ে দলটিকে আশ্বস্ত করা হয় বলে একটি সরকারি সূত্রে জানা গেছে।