অপহরণ ও গুমের মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (Rapid Action Battalion) সাবেক আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মোহাম্মদ সোহায়েল (Mohammad Sohail)-কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal)।
ট্রাইব্যুনালে হাজিরা ও গ্রেপ্তারের আদেশ
মামলার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল আদালত সোহায়েলকে হাজির করার আদেশ দেয়। সেই অনুযায়ী, আজ বুধবার (১৮ জুন) তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করে আদালত।
আদালতের উভয়পক্ষের উপস্থিতি
প্রসিকিউশনের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (Mohammad Tazul Islam) সহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া (Jyotirmoy Barua)।
সোহায়েলের দায়িত্বপালনের ইতিহাস
২০১০ সাল থেকে দুই বছর র্যাব এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোহায়েল। পরে তিনি ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কমোডর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি পান।
পদোন্নতির পর তিনি প্রথমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (Payra Port Authority) এবং পরে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (Chittagong Port Authority) এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারের পরিবর্তনের পর পদচ্যুতি ও গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতনের পর গত বছরের ৭ আগস্ট তাকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরিয়ে নৌবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়। এরপর ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনী (Bangladesh Navy) তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। পরদিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।