র‌্যাবের সাবেক পরিচালক সোহায়েলের পক্ষে শুনানি, আইনজীবী নিযুক্ত হলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া

[কুখ্যাত গুম ঘর টিএফআই সেলে বন্দী নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত র‌্যাবের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সোহায়েল (Mohammad Sohel)-এর পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি করেছেন কথিত মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া (Jyotirmoy Barua)। তার বিরুদ্ধে গুরুতর নির্যাতন ও গুমের অভিযোগে ইতোমধ্যে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।

অভিযুক্ত সোহায়েল ও গুমের অভিযোগ

প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তা এবং পরে নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল (Rear Admiral) পদে উন্নীত হওয়া মোহাম্মদ সোহায়েল ছিলেন গুম-নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত টিএফআই সেল (TFI Cell)-এর নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি। তাকে সহযোগিতা করতেন জিয়াউল আহসান (Ziaul Ahsan)। অভিযোগ রয়েছে, এই সেলে শত শত বন্দীকে অবৈধভাবে আটক ও নির্যাতন করা হতো।

গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজশাহী (Rajshahi)-এর এক বন্দীকে এনেস্থেশিয়া ছাড়া মুখে অপারেশন চালানোর ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন সোহায়েল। এই অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও উপস্থাপন করা হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীর পক্ষে দাঁড়ানো ও সমালোচনা

এই প্রেক্ষাপটে সোহায়েলের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শুনানি করেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া (Jyotirmoy Barua), যিনি নিজেকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। তার এই ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকে, বিশেষ করে অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)। তিনি মন্তব্য করেন, “এইটাই এনলাইটেনমেন্টের সমস্যা”, এবং জ্যোতির্ময়কে ‘জ্যোতির্ময়কাল’-এর প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন—এক সময় যখন ধর্মকে জীবন থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং যার ফলস্বরূপ ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি

ছাত্রশিবির (Shibir) কর্মী গোলাম মর্তূজা নিহিম (Golam Martuja Nihim)-কে অপহরণ ও গুমের মামলায় অভিযুক্ত সোহায়েলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, “গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এদের শাস্তি না দেখতে পারলে আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের কোনো মূল্য থাকবে না।”