বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরাম (Bangladesh Secretariat Employees Unity Forum) এর কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (Nurul Islam) সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার আলোচনার নামে আস্থার অপব্যবহার করেছেন এবং কর্মচারীদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।
সচিবালয়ে আন্দোলন ও দাবি
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের (Secretariat) ৬ নম্বর ভবনের নিচে কর্মচারীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন, যেখানে নুরুল ইসলাম এ দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমরা চাই, আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।”
তিনি আরও জানান, আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে এবং কর্মসূচি পরবর্তী পর্যায়ে নেওয়া হবে।
পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা
সমাবেশে তিনি ঘোষণা করেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন) সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিক্ষোভ মিছিল
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত কর্মচারীরা সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর প্রদক্ষিণ করে নিচে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, ১৮ জুনের মধ্যে দাবি মেনে সংশোধিত অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আগামী রবিবার (২২ জুন) থেকে লাগাতার ও কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। সেই আন্দোলনে দেশের সব সরকারি কর্মচারীদের যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাজেটে মহার্ঘ ভাতার উল্লেখ নেই
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (Dr. Salehuddin Ahmed) সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার কোনো ঘোষণা দেননি। তবে তিনি বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তার ভাষায়, “২০১৫ সালের পর থেকে কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।”