বিএনপি (BNP) তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)সহ সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ
রবিবার (২২ জুন) সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা (Sher-e-Bangla Nagar Police Station)য় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান (Md. Salah Uddin Khan) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর—১১।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কে. এম. নুরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান, তৎকালীন নির্বাচন সচিব (নাম অজ্ঞাত), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (Asaduzzaman Khan Kamal), আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক, এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, ডিজিএফআই ও এনএসআই এর সাবেক প্রধান (নাম অজ্ঞাত), ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, এবং তৎকালীন ঢাকা মহানগর (Dhaka Metropolitan) পুলিশ কমিশনার।
পুলিশের বক্তব্য
শেরেবাংলা নগর থানা-র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমাউল হক জানান, “পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগকারীর দাবি। ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট গ্রহণ এবং জনগণের ভোট ছাড়াই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দণ্ডনীয় অপরাধ।”
বিএনপির বক্তব্য
মামলার বাদী মো. সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ছিল ‘প্রশাসনিক নির্বাচন’। এ ভোটের মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা।”
তিনি আরও জানান, “বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) স্বাক্ষরিত পত্রে ২০১৮ সালেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে সময় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও জানান, এবার ছায়া লিপি ও আলামতসহ লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।