সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) কে এম নুরুল হুদা (KM Nurul Huda)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ (Police)। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানা (Uttara West Police Station)র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মামলা ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ
এর আগে একই দিন, বিএনপি (BNP) তিনটি ‘বিতর্কিত’ জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ১৮ জন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানা (Sher-e-Bangla Nagar Police Station)য় একটি মামলা দায়ের করে। একইসঙ্গে, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) একটি পৃথক অভিযোগও দাখিল করে বিএনপি, যেখানে তিন সাবেক সিইসিসহ মোট ১৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
‘নিশিরাতের নির্বাচন’ প্রসঙ্গ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে আলোচিত হয়। বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনের ফলাফলে তারা মাত্র সাতটি আসনে জয় পায়। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বেশিরভাগ ভোট আগের রাতেই সম্পন্ন হয়ে যায়, যার ফলে নির্বাচনটি ‘নিশিরাতের নির্বাচন’ নামে পরিচিতি পায়।
কমিশনের সদস্যরা কারা ছিলেন
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন সেই নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন:
– সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম
– সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার
– অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম
– অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী
এই কমিশনই ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব পালন করে, যার বৈধতা নিয়ে তখন থেকেই বিস্তর প্রশ্ন ছিল।