সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (KM Nurul Huda) কে উত্তরা (Uttara) এলাকায় নিজ বাসায় ‘মব’ হামলার শিকার হওয়ার পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা (Uttara West Police Station) পুলিশ, পরে একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বাসায় হামলা ও গ্রেপ্তার
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, কে এম নুরুল হুদার বাসায় গিয়ে কিছু লোক হট্টগোল সৃষ্টি করে। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারা হয়, গলায় জুতার মালা পরানো হয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এসব ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালকে ধরতে অভিযান
রাতেই পুলিশ অভিযান চালায় আরেক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল (Kazi Habibul Awal)-কে গ্রেপ্তার করতে। বারিধারা (Baridhara) এলাকায় অভিযান চালানো হলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (Dhaka Metropolitan Detective Branch) যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ সময় ইসলামী ব্যাংক (Islami Bank)-এর সাবেক এমডি মনিরুল মওলা (Monirul Mawla)-কে আটক করা হয়।
মামলার প্রেক্ষাপট
রবিবার দুপুরে বিএনপি (BNP) আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা তিন সাবেক সিইসির বিরুদ্ধে শেরেবাংলানগর থানা (Sher-e-Bangla Nagar Police Station)-য় মামলা দায়ের করে। এর কিছু সময় পরেই কে এম নুরুল হুদার বাসার সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, কে এম নুরুল হুদাকে একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ‘মব’ কর্তৃক তাকে হেনস্তা করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে এবং এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, কাউকে আক্রমণ করা, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অভিযুক্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত দেবে বলেও জানানো হয়।
পূর্বের বিতর্কিত নির্বাচন
উল্লেখ্য, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। ওই নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স পূরণের মতো অনিয়মের তথ্য উঠে আসে, যা টিআইবি (TIB)-র গবেষণাতেও প্রকাশ পায়।