রাজধানীর শেরে বাংলা থানা (Sher-e-Bangla Thana)-তে করা মামলায় গ্রেফতার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা (Nurul Huda)-কে ৪ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছেন।
আদালতে তীব্র প্রশ্নের মুখোমুখি সাবেক সিইসি
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে ঢাকার (Dhaka) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (Chief Metropolitan Magistrate) মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এসব ঘটনা ঘটে।
শুনানির সময় বিচারক নুরুল হুদার কাছে জানতে চান, “আপনি মনে করেন দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন?” জবাবে তিনি বলেন, “না, আমি মনে করি না।”
‘আপনি শপথ নিয়ে এ কথা বলতে পারেন না’
বিচারক আবার প্রশ্ন করেন, “আপনার নির্বাচনে সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন?” জবাবে নুরুল হুদা বলেন, “নির্বাচন কমিশন পাঁচজন সদস্য নিয়ে গঠিত। এ নির্বাচনে প্রায় ১৫ লাখ লোক কাজ করেন—রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ, আর্মি ইত্যাদি। সবার ওপর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থাকে। ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব ঘটনা জানা সম্ভব নয়।”
তখন আদালত মন্তব্য করেন, “আপনি শপথ নিয়ে এ কথা বলতে পারেন না।”
কারচুপির অভিযোগ এবং হস্তক্ষেপের প্রশ্ন
বিচারক জানতে চান, “ভোট কারচুপির অভিযোগে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন?” জবাবে নুরুল হুদা বলেন, “নির্বাচন হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না। তখন হাইকোর্ট ব্যবস্থা নেয়।”
এছাড়াও বিচারক প্রশ্ন করেন, “নির্বাচনের পর থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তারা আপনার অধীনে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আপনি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন?” বিচারক উল্লেখ করেন, নির্বাচনের আগে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ (Benazir Ahmed)-এর ‘হুঙ্কার মুভমেন্ট’ তিনি দেখেছেন কিনা।
জবাবে হুদা বলেন, “আমি এমন কিছু দেখিনি। এসপি অফিস বা পুলিশকে টাকা দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে ছিল না। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
পরবর্তীতে শুনানি শেষে বিচারক নুরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।