সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি (Golam Mawla Rony) সতর্ক করে বলেছেন, দেশে মব সন্ত্রাস বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গেও এমন অমানবিক ঘটনা ঘটতে পারে।
মব সন্ত্রাস রাষ্ট্রের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে
সম্প্রতি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা (Nurul Huda)-র ওপর একদল উত্তেজিত জনতা জুতার মালা পরিয়ে ও গালে জুতা মারার ঘটনা প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেন রনি। তিনি বলেন, ‘‘নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা ও গালে জুতার বারি রাষ্ট্রীয় স্থিতি ও শৃঙ্খলার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) পর্যন্ত তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন।’’
তিনি প্রশ্ন তুলেন, ‘‘এই বিচার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করবে নাকি অন্য কেউ? ইউনূস সাহেবের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট, এই ঘটনার পেছনে গভীর কোনো অপশক্তির ছায়া রয়েছে।’’
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াতকেও হতে পারে টার্গেট
রনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই উগ্রতা থামছে না, বরং বিস্তৃত হচ্ছে। তার মতে, বিএনপি-সমর্থিত গোষ্ঠী ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন (Sakhawat Hossain)-এর ওপরও একই ধরনের হামলা চালাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি’র তীব্র ক্ষোভ রয়েছে সাখাওয়াত সাহেবের প্রতি। ওয়ান-ইলেভেন সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বিএনপির অফিসে তালা লাগানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তার ওপর আরও বড় ধরনের মব হামলা হবে, এটা এখনই লিখে রাখুন।’’
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোও নিরাপদ নয়
রনি সতর্ক করে বলেন, “আজ যদি পুলিশের আইজিকে বা সেনাবাহিনীর প্রধানকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে মব তৈরি হয়, তখন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকবে তো? এখনই যদি এই মবের পেছনের শিকড় কেটে ফেলা না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদই নিরাপদ থাকবে না।’’
তিনি দাবি করেন, ‘‘এই ঘটনার সাথে যারা সরাসরি জড়িত, তারা নয়—তাদের পেছনের শিকড় ধরা দরকার। কারণ এই অপশক্তি রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’’