সাবেক নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা (KM Nurul Huda)-কে জনতা আটক করে মারধর ও ‘জুতার মালা’ পরানোর ঘটনায় তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya) সামাজিক মাধ্যমে একটি কঠোর বার্তা দেন।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান
গত সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সরকার জনতার হামলার (মব অ্যাকশন) বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। একই রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী একজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানা (Uttara West Police Station)-তে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় কারা আসামি?
মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল (Dhaka North City Volunteer Wing of BNP)-এর সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
পিনাকী ভট্টাচার্যের ঘোষণা
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার পক্ষাবলম্বনকারীদের উদ্দেশে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেন—
“হাসিনার নির্বাচন কমিশনার হুদাকে যা যেই আপ্যায়ন করা হইছে, হুদার জন্য কান্নাকাটি করা সবাইকে একই আপ্যায়ন করা হইবে। ঘোষণাটি শেষ হলো।”
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট
গত রোববার রাতে কে এম নুরুল হুদাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তবে তার আগে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হুদাকে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় আটক করা হয়।
এর আগে রোববার সকালে শেরেবাংলা নগর থানা (Sher-e-Bangla Nagar Police Station)-তে বিএনপি পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী তিন নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ (Kazi Rakibuddin Ahmad), কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল (Kazi Habibul Awal)-এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।