নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেয়ে জাতীয় নির্বাচনের পথে আরও একধাপ এগিয়েছে জামায়াতে ইসলামী

দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক পুনরায় ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়েছে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami)। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার (Mia Golam Porwar) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

গণতন্ত্রের পথে ‘মাইলফলক’ বলছে জামায়াত

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার বলেন, “নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কর্তৃক নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)ের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার উপর আস্থা রাখা সম্ভব। তবে কমিশন যেন কোনো পক্ষপাতিত্ব না করে, সে বিষয়ে জাতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।”

রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি

গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, “জামায়াতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দলের ওপর জুলুম করে রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জুলাইয়ের যোদ্ধারা যেসব ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা আমাদের আজকের অবস্থানকে সম্ভব করেছে।”

আইনজীবীর মূল্যায়ন ও আশাবাদ

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির (Shishir Monir)। তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে—এটাই সকলের প্রত্যাশা।”

তিনি আরও বলেন, “জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে জামায়াতের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নেবেন। দলটি স্মার্ট, ইনোভেটিভ, ইনক্লুসিভ ও ইফেক্টিভ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলবে।”

ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

শিশির মনির বলেন, “জামায়াতে ইসলামী এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা রাখতে পারবে। দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।”

সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তিতে বলা হয়, নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াত রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা ও সংস্কৃতি গড়ে তুলবে, যা ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে।