গ্রাহকের ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ধামাকা শপিংয়ের এমডির বনানীর ভবনসহ ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

ধামাকা শপিং (Dhamaka Shopping) গ্রাহকদের ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আলোচিত। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস. এম. ডি. জসীম উদ্দিন চিশতী (S. M. D. Jashim Uddin Chishti)-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID)।

সাম্প্রতিক এক আদেশে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত (Dhaka Senior Special Judge Court) ১৬ জুন এই ক্রোকের নির্দেশ দেন, যা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন (Al Mamun)-এর আবেদনের ভিত্তিতে জারি করা হয়।

কোন সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে?

অনিয়মের তথ্য

তদন্তে জানা গেছে, ধামাকা শপিং কোনো বৈধ নিবন্ধন ছাড়াই ‘ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড’ (Inveriant Telecom Bangladesh Ltd.)-এর ছত্রছায়ায় পরিচালিত হতো। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তারা সাউথইস্ট ব্যাংক (Southeast Bank), সিটি ব্যাংক (The City Bank) এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (Dutch-Bangla Bank)-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থ লেনদেন করত।

বিশেষ করে সাউথইস্ট ব্যাংকের একাউন্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ জুন যেখানে ছিল মাত্র ৯৩ হাজার ৭৩১ টাকা, সেই অ্যাকাউন্টেই পরবর্তীতে ৫৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়।

মানি লন্ডারিং ও মামলা

সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, আত্মসাৎকৃত অর্থ [Micro Trade Food and Beverage Ltd.]-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এ ধরনের অবৈধ অর্থ স্থানান্তর মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় পড়ে।

এই ঘটনায় বনানী মডেল থানা (Banani Model Police Station)-তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলা (নং: ১৩) দায়ের করা হয়।

সিআইডি জানায়, অভিযুক্তরা বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং আত্মসাতকৃত অর্থের বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করেছেন। অর্থের উৎস ও গন্তব্য শনাক্তে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ দল তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ (Abul Kalam Azad)।