ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)–এর সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য (United Kingdom) সফরকে সে দেশের পক্ষ থেকে ‘সরকারি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন (Towhid Hossain)। তবে সফরকালীন সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (Keir Starmer)–এর সঙ্গে ড. ইউনূসের কোনো বৈঠক না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এবং এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা মেলেনি।
‘বৈঠক হয়নি—বাস্তবতা এটিই’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Ministry of Foreign Affairs)–এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি তো সেখানে ছিলাম না। তাই কেন বৈঠক হয়নি তা বলতে পারি না। তবে বাস্তবতা হলো—মিটিংটি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাজ্য সরকার সফরটিকে ‘অফিশিয়াল’ বলেছিল, আমরা সেই অনুযায়ী প্রত্যাশা করেছিলাম। দেখা যাক, দায় কেউ নেয় কিনা। তারা কখনও বলেনি, নির্দিষ্ট সময়েই বৈঠক হবে।”
আগে কী বলা হয়েছিল?
এর আগে গত ১৮ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী (Ruhul Alam Siddique) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার (UK High Commissioner) একটি ব্রেকফাস্ট মিটিংয়ে বলেছিলেন যে, সফরটি ‘সরকারি সফর’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তবে সফর চলাকালে কিয়ার স্টারমার ছাড়াও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেননি বলে জানান তৌহিদ হোসেন।
‘বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান—জোট নয়, ছিল কূটনৈতিক আলাপ’
একই অনুষ্ঠানে তৌহিদ হোসেন আরও জানান, বাংলাদেশ (Bangladesh), চীন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে কোনো ত্রিপক্ষীয় জোট গঠনের বিষয়টি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, “আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। এটা একেবারেই চীনের অফিশিয়াল পর্যায়ের একটি উদ্যোগ। সেখানে একটি প্রদর্শনী চলছিল। সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, যা ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংযোগ উন্নয়ন নিয়ে। কোনো রাজনৈতিক বা কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ ছিল না এটি।”
ভবিষ্যৎ অগ্রগতির ইঙ্গিত
জোট গঠন সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা যা বলেছি, তা থেকেই বোঝা যায়—এটা কোনো স্ট্রাকচারাল বড় ধরনের কিছু ছিল না। প্রত্যেক দেশ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অংশ নিয়েছে। ভবিষ্যতে যদি কোনো অগ্রগতি হয়, তখন আপনারা জানতে পারবেন।”
