সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল (Kazi Habibul Awal) সম্প্রতি আদালতে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ হিসেবে স্বীকার করার পর বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান (Maruf Kamal Khan)।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে যে ভুয়া জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারতেন না। এই নির্বাচনের ফলে রাষ্ট্রের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্তরে অবৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
রাষ্ট্রীয় অবৈধতা এবং শাসনব্যবস্থার বৈধতা প্রশ্নে
মারুফ কামালের মতে, জাতীয় সংসদ গঠনের মাধ্যমে সরকার, মন্ত্রিসভা, রাষ্ট্রপতি, স্পিকারসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ গঠিত হয়। তিনি বলেন, “যেহেতু নির্বাচনের ভিত্তি ছিল ‘ডামি’, তাই সেই ভিত্তিতে গঠিত সংসদ, সরকার, পাসকৃত আইন, বাজেট বরাদ্দ—সবই অবৈধ।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি হয়েছে—সব অবৈধ। এমনকি তাদের নিয়োজিত বিচারকদের রায় পর্যন্ত অবৈধ।”
প্রশ্ন উঠেছে ভবিষ্যৎ বৈধতা নিয়ে
মারুফ কামাল বলেন, “একটি রাষ্ট্র এত অবৈধতা নিয়ে চলতে পারে না। এখন প্রশ্ন হলো, ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ কি এসব অবৈধ কার্যক্রমকে বৈধতা দেবে? এটি একটি বড় রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট।”
তিনি আরও বলেন, “ডামি নির্বাচনে জড়িতদের কী ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত, তা জাতিকে ভাবতে হবে। রাষ্ট্রদ্রোহ ও জনগণের ওপর অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে যে নির্বাচন হয়েছে, সেটির ভয়াবহ পরিণতি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঢেকে ফেলছে।”
গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তি
বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা থানা (Sher-e-Bangla Police Station)–এর এক মামলায় কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও নির্বাচনী প্রহসনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আদালতে তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে স্বীকার করেন।