প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হলে হাসনাত আবদুল্লাহ বুঝবেন তিনি ভুল করেছেন: দুদক মহাপরিচালক

দুর্নীতি দমন কমিশন (Anti-Corruption Commission)–এর মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন (Akhtar Hossain) বলেছেন, “প্রকৃত ঘটনা সামনে এলে হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) বুঝতে পারবেন তিনি ভুল করেছেন।” বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ভিডিও পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party)–এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন, যেখানে অভিযোগ করা হয়—দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ দাবি করা হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিষয়টি তদন্তাধীন এবং অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদকের সতর্কতা ও ব্যাখ্যা

মঙ্গলবার রাতে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম (Akhtarul Islam) বলেন, “হাসনাত আবদুল্লাহ যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের ডিজি ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।”

দুদক জানিয়েছে, একটি প্রতারক চক্র কমিশনের কর্মকর্তাদের পরিচয় ব্যবহার করে ঘুষ দাবি করছে। এ বিষয়ে দুদক এরই মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন প্রতারককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

হাসনাতের অভিযোগ

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লেখেন, “স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা। কোনো দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে এই টাকা দিতে হয়। সম্প্রতি মাহমুদা মিতু (Mahmuda Mitu)–র কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয় দুদকের ডিজি ও ডিডি পরিচয়ে।”

হাসনাত আরও বলেন, “টাকা দিতে না চাইলে হুমকি দেওয়া হয়। মাহমুদা রেড ক্রিসেন্টে যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পর। এখনকার লোকজনকে আগের সরকারের দায় দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে—আওয়ামী আমলে যারা দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, তাদের কত টাকা নেয়া হয়েছে?”

আওয়ামী লীগের আমলের সমালোচনা ও নতুন প্রত্যাশা

হাসনাত আরও অভিযোগ করেন, “হাসিনার আমলে দুদক বিরোধী দলের বহু নেতাকে হয়রানি করেছে। নতুন বাংলাদেশে আমরা পরিবর্তনের আশা করেছিলাম, কিন্তু দুদক এখনো সেই পুরোনো রূপেই রয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই দুদকের দুর্নীতির বিচার হোক। যারা সত্যিই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাদের কেন হয়রানি করা হচ্ছে? মানুষ কি এক লাখ টাকার চায়ের বিল দিতেই জীবন দিয়েছিল?”