সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল (Masud Kamal) মন্তব্য করেছেন, পশ্চিমা বিশ্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)–এর গ্রহণযোগ্যতা এখন আর আগের মতো নেই।
পশ্চিমা মিডিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন
মাসুদ কামাল বলেন, অতীতে বারবার আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের সঙ্গে ড. ইউনূসের বিরোধ হলে পশ্চিমা মিডিয়া ও রাষ্ট্রগুলো সবসময় ইউনূসের পাশে দাঁড়াতো। কিন্তু এখন তাদের সুর পাল্টেছে, এবং মনে হচ্ছে তারা ড. ইউনূসের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই পরিবর্তনকে ড. ইউনূস কিভাবে নিচ্ছেন? তিনি কি এসব পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন?”
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন এবং জরিপ
দ্য ইকোনমিস্ট (The Economist)–এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, সেখানে এক জরিপে দেখা গেছে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ এনসিপি (NCP)–কে ভোট দিতে চায়, আর এমনকি নির্বাচন না করলেও ১৪ শতাংশ মানুষ এখনও আওয়ামী লীগ–কে ভোট দিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, “এই ধরনের দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আপনি গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমর্থন আশা করবেন কীভাবে?”
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মাসুদ কামাল বলেন, দ্য ইকোনমিস্ট তাদের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করেছে—”বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার উপায় হতে পারে না।” এই ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে।
লন্ডন সফর এবং বিভক্ত অভিজ্ঞতা
সম্প্রতি লন্ডন (London) সফরের সময় ড. ইউনূস বিভিন্নজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে কিছু জায়গায় তিনি সম্মানিত হলেও কোথাও কোথাও তাকে অপমানের মুখেও পড়তে হয়েছে বলে জানান মাসুদ কামাল।
তিনি বলেন, দ্য ইকোনমিস্টে ‘Banning the opposition is no way to revive Bangladesh’s democracy’ শিরোনামে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তে বেকায়দায় ড. ইউনূস
মাসুদ কামালের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে ড. ইউনূস যে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা-ই তাকে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় ফেলেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ–কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি গণতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, “একটি কালো আইন এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে কোনো ইতিবাচক বার্তা দেয় না।”