সাবেক সচিব ও রাজনীতি বিশ্লেষক আবু আলম মো. শহিদ খান (Abu-Alam-Mohammad-Shahid-Khan) অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে মত প্রকাশ করেছেন।
সংস্কার সম্ভব নয় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে
টকশোতে শহিদ খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে ব্যক্তির সংস্কার সম্ভব নয়। তাঁর মতে, ‘ব্যক্তির সংস্কার ব্যক্তিকে করতে হবে, এটা পরিবার, স্কুল কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই শুরু হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সংস্কার নিজেরাই করবে। তাদের নেতা-কর্মীদের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা, সেবক হিসেবে গড়ে তোলা—এসব রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কাজ।’
এনজিও প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা নয়
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের এসব বিষয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। ‘এটা কোনো এনজিও প্রজেক্ট নয় যে, একটি এনজিও খুলে রাজনৈতিক কর্মীদের ট্রেনিং দেয়া হবে,’—মন্তব্য করেন শহিদ খান।
দীর্ঘমেয়াদি সময় ছাড়া কার্যকর সংস্কার অসম্ভব
প্রাক্তন এই সচিব বলেন, ‘সংসদের অনেক এমপিকে ইউনিসেফ (UNICEF) ও ইউনেস্কো (UNESCO) বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়েছে, কিন্তু তার উল্লেখযোগ্য সুফল দেখা যায়নি। একইভাবে পুলিশ (Police) সদস্যদেরও মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তব প্রয়োগে তার প্রতিফলন খুবই কম।’
শহিদ খান বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো মাইক্রো লেভেলে, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদেরই তা করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের তো একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। এটা দীর্ঘমেয়াদী সরকার নয়। যদি ১০ থেকে ২০ বছরের সময় দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো কিছু ফল আসতে পারে। কিন্তু এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের যে সীমাবদ্ধতা, যোগ্যতা—তা জনগণের কাছে স্পষ্ট।’