রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা (Bashundhara Residential Area) থেকে এইচএসসি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া মাহিরা বিনতে মারুফ (Mahira Binte Maruf) কে সাভার থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৪ (RAB-4)। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা পর রবিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে তাকে সাভারের একটি নির্জন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
কী বললেন মাহিরা?
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মাহিরা জানান, বাসা থেকে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর এক অচেনা নারীর খপ্পরে পড়েন। সেই নারী তার নাকে কিছু একটা ছোঁয়ানোর পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে সাভারের একটি নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন তিনি।
সেখানে কিছু সময় থাকার পর তাকে নতুন পোশাক দেওয়া হয়। সুযোগ বুঝে মাহিরা সেই স্থান থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসেন এবং জঙ্গল দিয়ে দৌড়াতে থাকেন। একপর্যায়ে রাস্তায় র্যাবের একটি গাড়ি দেখতে পেয়ে সাহায্য চান। র্যাব সদস্যদের কাছে ঘটনাটি খুলে বললে তারা তাকে উদ্ধার করেন এবং রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
র্যাব ও পরিবার যা বলছে
র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি (KN Roy Niyoti) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাহিরাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাহিরার দেওয়া বক্তব্য যাচাই করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
নিখোঁজ হওয়ার পরের ঘটনাপ্রবাহ
রোববার সকাল ৮টার দিকে মাহিরা রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ (Mirpur Government Bangla College) কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে রওনা দেন। দুপুর ১টার দিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মাহিরা বাসায় ফেরেননি।
পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষা কেন্দ্রে খোঁজ নেয় এবং জানতে পারে, মাহিরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেননি। এরপর রাজধানীর ভাটারা থানা (Vatara Police Station)য় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার।
তদন্ত চলছে
মাহিরার দেওয়া বক্তব্য যাচাই এবং ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখনো নিশ্চিত নয়, এটি অপহরণ, প্রতারণা নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা।