জাতীয় নাগরিক পার্টি (Jatiyo Nagorik Party)-এর দক্ষিণ অঞ্চল সংগঠক আসাদ বিন রনি (Asad Bin Roni) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেন, দেশের সাধারণ মানুষ পিআর (PR), এনসিসি (NCC), কিংবা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সচেতন না হলেও, বিএনপিপন্থী একটিভিস্টরা এসব বিষয়ে অতিমাত্রায় সচেতন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব ব্যবহার করছে।
বিএনপিপন্থীদের উদ্দেশ্যে রনির মন্তব্য
আসাদ বিন রনি লিখেছেন, “দেশের মানুষ PR বুঝে না, এনসিসি বুঝে না, ৭০ অনুচ্ছেদ বুঝে না, সব বুঝে বিএনপিপন্থী দলকানা একটিভিস্টগুলো।” তিনি অভিযোগ করেন, এই একটিভিস্টরা এখন এমন প্রচার শুরু করেছে যে, সংখ্যানুপাতে নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বর্তমানে আওয়ামী লীগ (Awami League)-এর নিবন্ধন বাতিল এবং দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তাহলে তারা কীভাবে ফিরবে? রনি প্রশ্ন তোলেন, “জুলাই গাদ্দারগুলো সুযোগ না করে দিলে তারা কীভাবে পুনর্বাসিত হবে?”
ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতার অভিযোগ
রনি আরও দাবি করেন, দেশের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন এস আলম গ্রুপ (S Alam) থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ (Narayanganj)-এর কথিত মাফিয়া শামীম ওসমান (Shamim Osman) পর্যন্ত। তার দাবি অনুযায়ী, এসব ব্যক্তির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিএনপির নেতৃত্বে চলছে।
শহীদদের আত্মত্যাগ ও রাষ্ট্র কাঠামো
রনি বলেন, “১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নাকি বিএনপির উদারতা। মানে হাজারো শহীদ, অন্ধত্ব বরণকারী ভাই-বোনদের আত্মত্যাগ এখন বিএনপির করুণার ভিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি এ বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চান, দেশের স্বাধীনতা ও গনতন্ত্রের জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এখনকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া উপহাসস্বরূপ।
সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
আসাদ বিন রনি তার স্ট্যাটাসের শেষ অংশে উল্লেখ করেন, “ইতিহাস বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটে। আমরা প্রস্তুত শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে। আমাদের লড়াই, আমাদের সংগ্রাম জারি থাকল।” তিনি ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করেন।