২০০৯ সালের বিডিআর (BDR) হত্যাকাণ্ডের দায়ভার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উদ্দিনের ওপর দিয়েছেন বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। প্রবাসী সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার তার ইউটিউব চ্যানেলে খালেদা জিয়ার একটি পুরোনো ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি এ বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়ার বক্তব্য
ভিডিওটিতে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, “বিডিআরের ঘটনা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাস পরেই কেন ঘটল? তিনি সব কিছু জানতেন। সেদিন তিনি কেন সেনানিবাসে ডিনারে গেলেন না?” খালেদা প্রশ্ন তোলেন, “তার আগে আমিও গিয়েছিলাম, হাসিনাও গিয়েছিলেন। এবার কেন যাননি? তার পরদিনই কেন এই হত্যাকাণ্ড হলো?”
হাসিনা ও সেনাপ্রধানকে দায়ী
খালেদা দাবি করেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে শেখ হাসিনা এবং সেনাপ্রধান মইন উদ্দিন (তৎকালীন সেনাপ্রধান) সব জানতেন। তাদের দায় এড়ানো যায় না। একদিন না একদিন হাসিনাকে জবাব দিতেই হবে।” তিনি বলেন, “৫৭ জন সৎ ও দক্ষ অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের কেউ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, কেউ গার্বেজে ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
কর্নেল গুলজার এবং র্যাবের ভূমিকা
তিনি বলেন, “কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ (Gulzar Uddin Ahmed) খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান (Shaykh Abdur Rahman)-কে গ্রেপ্তার করেছিলেন। এজন্য মির্জা আজম (Mirza Azam) তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন, কারণ শায়খ আবদুর রহমান ছিলেন মির্জা আজমের বোনের স্বামী।”
তিনি আরও জানান, “ঘটনার দিন গুলজার বারবার র্যাব (RAB) ও সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের জন্য ফোন করেছিলেন, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। আর্মি বসে ছিল কিন্তু অনুমতি পাচ্ছিল না। যদি সময়মতো র্যাব ও সেনাবাহিনী প্রবেশ করতে পারত, অনেক অফিসারের জীবন রক্ষা পেত।”
তদন্ত ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
খালেদা বলেন, “একটি সুষ্ঠু তদন্ত না করে দলের লোক দিয়ে নামমাত্র তদন্ত করা হয়েছে। যারা আসলেই দায়ী, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি একজন ডিএডি তৌহিদ শেখ হাসিনার সঙ্গে শেরাটন হোটেল (Sheraton Hotel) থেকে খাবার এনে খেয়েছে, পরে বাহবা পেয়ে ফিরে গেছে।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা শুধু এই হত্যাকাণ্ডেই নয়, আরও অনেক বিষয়ে জড়িত। বিদেশিদের ভয় দেখাতে ‘জঙ্গি উত্থান’ দেখানোর নাটক করছেন। মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন, নির্যাতন চালাচ্ছেন। তবে আল্লাহ আছেন, আল্লাহ বিচার করবেন।”