Saturday , September 30 2023
Breaking News
Home / Countrywide / নিজের নির্বাচনী এলাকায় ডা. মুরাদের অপরাধ কর্মকান্ডের আদ্যপান্ত

নিজের নির্বাচনী এলাকায় ডা. মুরাদের অপরাধ কর্মকান্ডের আদ্যপান্ত

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা ও প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এমপি দেশ ছেড়ে কানাডায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মানুষ এখন তার জুলুম ও অত্যাচারের কথা বলতে শুরু করেছেন। সেখানকার মানুষেরা জানান ডা. মুরাদ হাসান সরিষাবাড়ীর মানুষের ওপর রীতিমত দু:শাসন চালিয়ে গেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী যারা রয়েছেন তারা একটি সময় এসে তার অত্যা’চার-জু’লুমে অধৈর্য হয়ে ওঠে। তার নিয়োগ করা ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার করার কারনে অনেকেই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। দিন দিন তার যে কুকর্মের কান্ড সেটা বাড়তে থাকে। ঠিক সেই সময়েই তার পতনের ঘণ্টা বেজে উঠল। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজেকে আড়াল করার জন্য দেশ ছেড়ে কানাডায় পৌঁছানোর পরও তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু কানাডা ইমিগ্রেশন তাকে সেদেশে ঢুকতে দেয়নি। মুরাদ নারী কেলেঙ্কারির নায়ক, বিতর্কিত দেশত্যাগী, কানাডা সরকারের কাছে এমন অভিযোগ করেন সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকরা। দেশে ফেরার আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ধারণা করেছিলেন যে তিনি দেশে না এসে ভারতে প্রবেশ করতে পারেন।

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন ডা. মুরাদ। তিনি এমপি হওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জিম্মি করে একক আধিপত্য বিস্তারে মেতে ওঠেন। তার দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ডা. মুরাদ তৈরি করেন এক স’ন্ত্রা/সী বা’হিনী। এ বাহি’নীর হাতে শারীরিক ও মানসিক নি’/র্যাত’নের শি’কার হন অনেক নেতাকর্মী। স’/ন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য রাজা মিয়া ওরফে রাজা মস্তান, রাঙ্গা মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল ও সাখাওয়াতুল আলম মুকুলের নেতৃত্বে যমুনা সার কারখানা এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের ওপর হাম’লা হয়। তারা ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক মা’রধর করে। স’ন্ত্রা/সীদের গু’/লিতে মামুনের একটি চোখ নষ্ট হয়। স’ন্ত্রা/সীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও তাকে এলাকাছাড়া করে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমীন হোসাইন শিবলুকে মারধ’র ও এলাকাছাড়া করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা আওয়ামী লীগের তেজগাঁও থানা শাখার সহ-সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি আব্দুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদকে হুম’কি ও মানসিকভাবে লা’ঞ্ছিত করে এলাকায় ত্রা’সের রাজত্ব কায়েম করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক মো. মুরাদ ছিলেন সরিষাবাড়ীতে স’/ন্ত্রাসের রাজা। এলাকার ইমামদের সঙ্গেও তিনি উদ্ধত আচরণ করেন। তার স্থান কোথাও হবে না।

হারুন অর রশিদ যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, মুরাদ হাসানের পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে সরিষাবাড়ীতে শান্তি বিরাজ করতে শুরু করে। এবং সেখানকার মানুষেরা আনন্দ মি’ছিল করে। এটা দিয়েই বোঝা যায় তিনি কতটা অগ্রহনযোগ্য ছিলেন এই এলাকার মানুষের কাছে। তিনি পদত্যাগ করার সাথে সাথে তার স’/ন্ত্রাসী বাহিনীতে থাকা ক্যাডাররা যারা দাপিয়ে বেড়াতেন এলাকায় তারা আত্মগোপনে চলে গেছে। তিনি যদি কখনো দেশত্যাগও করেন তাহলেও তার বিরুদ্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

About

Check Also

উড়ছে শকুন, যে কোনো সময় মানচিত্রে থাবা দেবে: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মাঝে মাঝে আলোচনায় উঠে আসেন। তিনি রাজনীতিতে দীর্ঘদিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *