গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র নিলে তা ভালো হবে: ওভাল অফিসে মন্তব্য ট্রাম্পের

ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য ওভাল অফিসে

ফিলিস্তিনের গাজা (Gaza) পরিস্থিতি নিয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সোমবার হোয়াইট হাউসে (White House) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তা ভালোই হবে। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরের কথাও উল্লেখ করেন।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ‘গাজা পরিকল্পনা’

এই মন্তব্য তিনি করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)র সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকের পর। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহু ট্রাম্পের গাজা সম্পর্কিত বক্তব্যকে ‘সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এতে গাজা দখলের স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।

ট্রাম্প অতীতেও গাজা দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং বিশ্বব্যাপী সে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই একে জাতিগত নিধনের পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যা দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প: “আমি যুদ্ধের অবসান চাই”

সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি যুদ্ধের অবসান দেখতে চাই। আমি মনে করি এটি শেষ হবে, এবং বেশি দেরি হবে না।” তিনি জানান, গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বাহিনী মোতায়েন এবং নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ একটি ভালো বিষয় হবে।

জিম্মি মুক্তি নিয়ে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বক্তব্য

ট্রাম্প আরও জানান, হামাসের হাতে আটক থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি চলমান, তবে এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু জানান, জানুয়ারিতে সংঘটিত যুদ্ধবিরতির সময় জিম্মিদের মুক্তি তাদের একটি বড় সফলতা। তিনি বলেন, “আমরা সকল জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তবে গাজায় হামাসের দমন অত্যাবশ্যক।”

হামাসের হামলা এবং ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস (Hamas) এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরাইলের ওপর, যাতে ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী ১২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদের অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল (Israel) গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে, যার ফলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (Gaza Health Ministry)র তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।