মুজিববর্ষ পালনে রাষ্ট্রের চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক

মুজিববর্ষ পালন ও ম্যুরাল নির্মাণে ৪ হাজার কোটি টাকার ব্যয়

রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিববর্ষ পালনের পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমান–এর দশ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক (Anti-Corruption Commission)।

দুদক-এর একটি সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ([Sheikh Hasina]), শেখ রেহানা ([Sheikh Rehana]) সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি মামলা

এদিকে, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের’ অভিযোগে রাজউক ([RAJUK])–এর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল।

এই মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ([Sajeeb Wazed Joy]), কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ([Saima Wazed Putul]), বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ([Tulip Siddiq]), আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী এবং ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ([Radwan Mujib Siddiq])।

শুনানি শুরু ৯ এপ্রিল, পর্যায়ক্রমে চলবে

দুদক গত ২৪ মার্চ ঢাকা ([Dhaka]) মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতির ৬টি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ অনুযায়ী, ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ([Ministry of Housing and Public Works]) এবং রাজউক–এর ১৬ কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে, যাদের নাম পৃথক ছয়টি মামলায় উল্লেখ আছে।

অভিযোগপত্র গৃহীত হলে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং পরবর্তী ধাপে অভিযোগ গঠন করা হবে। মামলাগুলোর মধ্যে ১০ এপ্রিল একটি, ১৩ এপ্রিল তিনটি ও ১৫ এপ্রিল আরও তিনটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে।