উত্তরা হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার গ্রেপ্তার, আদালতে সাবেক এমপি জ্যাকবের সঙ্গে কথোপকথন

উত্তরা হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার গ্রেপ্তার

উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার (Shomi Kaiser)-কে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াক (G.M. Farhan Ishtiaq) এর আদালত তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিরাও

শুনানির দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে কড়া নিরাপত্তায় হাজির করা হয়। একই দিনে আরও কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকেও আদালতে হাজির করা হয়, যাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি ছিল।

এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (Abdullah Al Islam Jakob)-এর সঙ্গে কথোপকথনে লিপ্ত থাকতে দেখা যায় শমী কায়সারকে।

মামলার পটভূমি

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকার পতনের আগের দিন টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (Zubayer Hasan Yusuf) উত্তরা আজমপুরে একটি মিছিলে অংশ নেন। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে মিছিলটি আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোড়া গুলি ইউসুফের বাম কাঁধে লাগে।

পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট ইউসুফ নিজে উত্তরা পূর্ব থানা (Uttara East Police Station)-য় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০-২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শমী কায়সার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে উল্লেখ আছেন।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও গ্রেপ্তার

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতনের পরে ১৪ আগস্ট শমী কায়সার ই-ক্যাব সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ৬ নভেম্বর পুলিশ তাকে উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ

শমী কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার (Shahidullah Kaiser) এবং লেখক, গবেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার (Panna Kaiser) দম্পতির কন্যা। নব্বই দশকে তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রযোজনাতেও যুক্ত হন।

তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন এবং এফবিসিসিআই (FBCCI) পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (Feni-3) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও তা পাননি।