আদালতের নির্দেশে ৩০ দিনের জন্য আটক
ঢাকা (Dhaka), ১০ এপ্রিল ২০২৫ – আলোচিত মডেল মেঘনা আলম (Meghna Alam)-কে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (Dhaka Chief Metropolitan Magistrate Court) পুলিশের আবেদনের পর এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রবিরোধী কাজের আশঙ্কা
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত (Dhaka Metropolitan Sessions Judge Court)-এর প্রধান সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী (Omar Faruk Faruki) জানান, মেঘনা আলম এমন কিছু কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনশৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেই কারণেই তাকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয় এবং আদালত তাকে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার আদেশ দেন।
ফেসবুক লাইভে ‘নির্দোষ’ দাবি
ভাটারা থানা (Vatara Police Station)-র অফিসার ইনচার্জ মাযহারুল ইসলাম (Mazharul Islam) জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) (Dhaka Metropolitan Detective Branch – DB) মেঘনা আলমকে বসুন্ধরা (Bashundhara) এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয়।
তবে কেন তাকে আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা গেছে, গ্রেফতারের সময় মেঘনা ফেসবুক লাইভে ছিলেন এবং লাইভে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
কোনো মামলা হয়নি, আটক বিশেষ ক্ষমতা আইনে
পিপি আরও জানান, এখন পর্যন্ত মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট মামলা দায়ের হয়নি। শুধুমাত্র ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে তাকে আটক রাখা হয়েছে।
এই আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি এমন কোনো কাজ করেন যা দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা বা আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ হয়, তাহলে তাকে আটক রাখা যাবে। এছাড়া, যদি কেউ জনমনে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে ক্ষতি করেন অথবা জরুরি পণ্য বা সেবার সরবরাহে বাধা দেন, তাও এই আইনের আওতায় পড়ে।