নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায়ে দৃঢ় অবস্থান
মেধার বিপরীতে ‘সুপারিশ’কে গণ-অভ্যুত্থান (https://wellnews24.com/tag/gan-abyutthan)-এর শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণা বলে আখ্যায়িত করেছেন সারজিস আলম (Sarjis Alam)। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party)–এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, চাকরির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয় এবং কেউ যেন এনসিপি বা তার কাছে এই বিষয়ে না আসে।
পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রসঙ্গ
পোস্টে সারজিস আলম বলেন, “পঞ্চগড় (Panchagarh) জেলায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ফিটনেস পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে, এরপর ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং সর্বশেষে ১৫ নম্বরের ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত ও ভাইভা—মোট ৬৫ নম্বরের ভিত্তিতে চাকরি নির্ধারিত হবে। লিখিত পরীক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর জন্য নম্বর বেশি। অতীতে দেখা গেছে, ভাইভাতে সাধারণ জ্ঞান থাকলে ৭-৮ নম্বর পাওয়া যায়, কিন্তু রিটেনে খারাপ করলে সুপারিশ করে ভাইভাতে ২-৪ নম্বর বাড়িয়ে লাভ নেই।”
রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে না দৌড়ানোর আহ্বান
সারজিস আলম সরাসরি অনুরোধ করে বলেন, “ফিটনেস পাস করেই রিটেন বা ভাইভা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে ঘুরাঘুরি বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় (District Police Panchagarh) নিশ্চিত করেছে যে পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়।”
মেধার বিপরীতে সুপারিশ মানেই শহীদদের সাথে প্রতারণা
তিনি আরও বলেন, “‘কোটা না মেধা (Quota vs Merit)’—এই স্লোগান নিয়ে একটি অভ্যুত্থান হয়েছিল যেখানে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, আর অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ রক্ত দিয়েছেন। সেখানে মেধার বিপরীতে সুপারিশ মানেই এই শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণা।”
শেষে সারজিস আলম বলেন, “আমার কাছে বা অন্য কোনো দলের নেতার কাছে সুপারিশের আশায় আসবেন না। আমরা চাই বাংলাদেশ পুলিশ (Bangladesh Police) শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করুক এবং সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করুক, যাতে মেধার জয় হয়।”