🌐 পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হবে বিদেশী আইনে: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর
স্থান বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank), চট্টগ্রাম (Chattogram)
তারিখ: ১১ এপ্রিল ২০২৫
প্রতিবেদন:** নিজস্ব প্রতিবেদক
🔹 মূল বক্তব্য:
ড. আহসান এইচ মনসুর (Dr. Ahsan H. Mansur), বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) এর গভর্নর, জানিয়েছেন যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া দেশীয় নয়, বরং বিদেশি আইনের আওতায় চালানো হবে।
“দেশীয় আইনে নয়, যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে, তাদের আইনের সঙ্গে সমন্বয় করেই ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলবে।”
🔍 কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
১. সম্পত্তি ফ্রিজ করা হবে:
- আগামী ছয় মাসের মধ্যে পাচার হওয়া বিদেশি সম্পদ চিহ্নিত করে তা ফ্রিজ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
- এজন্য আন্তর্জাতিক ল ফার্ম ও এস্টেট ট্রেসিং এজেন্সি নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২. আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট:
- আদালতের মাধ্যমে নয়, বরং সমঝোতার ভিত্তিতে অর্থ ফেরতের চেষ্টা করা হবে।
- তবে সেটেলমেন্টের আগে প্রয়োজন নির্ভুল তথ্য ও শক্ত প্রমাণ।
💰 কত টাকা পাচার হয়েছে?
- আনুমানিক মোট পাচারকৃত অর্থ: আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা
- এর মধ্যে শুধুমাত্র বেক্সিমকো (Beximco)-র নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
- ছোট গ্রুপগুলোর বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলেও ভবিষ্যতে নজর দেওয়া হবে।
📉 মুদ্রাস্ফীতি বিষয়ে গভর্নরের পর্যবেক্ষণ:
- পূর্বে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হিসাব ৯-১০% বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪%।
- বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৮-৯%-এ।
- লক্ষ্য রয়েছে, আগামী বছরে তা ৫% বা তার নিচে নামিয়ে আনা।
🧑💼 উপস্থিত কর্মকর্তারা:
- মো. জামাল উদ্দিন (Md. Jamal Uddin), নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
- মো. আনিসুর রহমান (Md. Anisur Rahman), পরিচালক, BFIU
- মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরী
- সঞ্চালক: মো. জোবাইর হোসেন (Md. Zobair Hossain), উপপরিচালক
📝 উপসংহার:
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এর এই ঘোষণা দেশের আর্থিক নিরাপত্তা ও সুশাসনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে, এবং বহু বছরের কালো অর্থ ব্যবস্থার অবসান ঘটানো সম্ভব হবে।