বিচারক সংকট ও লজিস্টিক সমস্যার সমাধান করা হবে: আইন উপদেষ্টা

বিচারক সংকট ও অবকাঠামো ঘাটতির বিষয়ে আশ্বাস আইন উপদেষ্টার

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা (Asif Nazrul) ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগে বর্তমানে যে বিচারক সংকট ও লজিস্টিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা দূরীকরণে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বান্দরবান (Bandarban) জেলার চীফ জুডিশিয়াল আদালতের অধিগ্রহণকৃত স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

চীফ জুডিশিয়াল আদালতের জায়গা পরিদর্শনে আইন উপদেষ্টা

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ (Jamiul Haider) মো. জামিউল হায়দার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা দায়রা জজ বেগম জেবুন্নাহার আয়শা (Jebunnahar Ayesha), চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল (Siraj Uddin Iqbal)সহ বিচার বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মতবিনিময় সভায় বিচার বিভাগীয় উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা

পরিদর্শনের পাশাপাশি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বান্দরবান জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ড. আসিফ নজরুল। সভায় তিনি বলেন, “বিচারক সংকট আছে, লজিস্টিক সমস্যাও আছে। অল্পদিন হলো আসছি। নিয়োগ দিতেও সময় লাগে। বিচারক সংকট থাকবে না। আমরা সরকারে থাকতে থাকতে সমস্যাটা মোকাবিলা করে যাবো।”

তিনি আরও বলেন, “পারিবারিক আদালতের মামলাগুলো সালিশে দিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টি এখন চিন্তার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত হয়নি, সালিশ না হলে তখন কোর্টে আসবে। এর ফলে কোর্টের ওপর চাপ কমবে।”

স্মারকলিপি পেশ ও কর্মচারীদের দাবি

মতবিনিময় সভা শেষে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, বান্দরবান জেলা শাখা (Bangladesh Judicial Service Association, Bandarban Unit)র পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—

  • সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপন
  • অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি
  • বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা প্রদান

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সামির হোসাইন, সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান (Kamrul Hasan) এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।