বিবাহ নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে নির্দেশনা দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা

বিবাহ নিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় নিয়ে অসন্তোষ

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন (Dr. A F M Khalid Hossain) বলেছেন, বিবাহ নিবন্ধনের সময় অনেক কাজী ও তাদের সহকারীরা সরকারি বিধান অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন, যা অনিয়ম এবং জনগণের জন্য হয়রানির কারণ। এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে এবং সকল ফি-এর রশিদ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম শহরের এলজিইডি ভবনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরাম (Bangladesh Muslim Nikah Registrar Forum) এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।

নিকাহ রেজিস্ট্রারদের প্রতি সরকারি বিধি মানার আহ্বান

ধর্ম উপদেষ্টা সভায় উপস্থিত সকল নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সরকারি বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত ফি আদায়ের অনুরোধ জানান এবং সংগঠনকে রাজনীতিমুক্ত রাখার আহ্বান জানান।

যৌতুকবিরোধী প্রচারে ইমাম-খতিবদের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান

সভায় ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি এবং এটি দেওয়া-নেওয়া দুটোই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি মন্তব্য করেন, “শুধু স্লোগান দিয়ে যৌতুক রোধ করা সম্ভব নয়, ইমাম-খতিব এবং কাজীদের তাদের নিজ নিজ ফোরামে এ বিষয়ে কথা বলতে হবে, সমাজকে সচেতন করতে হবে।”

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ছয় লেনে উন্নীত হবে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই সড়কটি বর্তমানে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক একটি দুঃখজনক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে এই সড়ক নিয়ে মানববন্ধন হচ্ছে এবং তিনি সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্য অতিথির বক্তব্য

বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরাম-এর সভাপতি কাজী ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছাঈদ (Kazi Sayyed Muhammad Abu Said) এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এলজিইডি-র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী (Mohammad Hasan Ali) এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক (Mahbubul Haque)।

ফোরামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন

সভায় ফোরামের নেতারা বাল্যবিবাহ বন্ধে কনের স্থায়ী ঠিকানায় কাজী অফিসে বিবাহ নিবন্ধন করার সুপারিশ করেন। পাশাপাশি তারা বিবাহ নিবন্ধনের ফি তিন ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব বাতিল এবং বরের বয়স ২০ ও কনের বয়স ১৬ নির্ধারণের প্রস্তাবসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।