নির্বাচন ঘিরে বিএনপির প্রস্তুতি, তবে তারেক রহমান এখনো প্রবাসে
আমিনুল ইসলাম (Aminul Islam), বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা, ঘোষণা দিয়েছেন, দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে দল কাজ করছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, বিএনপি দৃঢ়ভাবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় এবং বারবার সে কথা পুনরাবৃত্তি করছে।
তবে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—যদি বিএনপি নির্বাচন চায় এবং ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে দলের সিনিয়র নেতা তারেক রহমান (Tarique Rahman) কেন এখনো দেশে ফিরছেন না?
“সব খোলা চিঠির উত্তর পেয়েছি, এবারও চাই”
লেখকের মতে, তারেক রহমানকে অতীতে লেখা সব খোলা চিঠির উত্তর পাওয়া গেছে, এবং এবারও উত্তর পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তিনি এটাও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের তারেক রহমানের বক্তব্যগুলো এতটাই মেপে-মেপে বলা হচ্ছে যে সমালোচকদেরও বিশেষ কিছু বলার সুযোগ থাকছে না।
বাস্তবতা ভিন্ন: মাঠ পর্যায়ে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ
যদিও তারেক রহমানের বক্তব্যে শুদ্ধ রাজনীতির বার্তা আছে, কিন্তু বাস্তবে মাঠপর্যায়ে চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। দেশের নানা জায়গায় চাঁদাবাজি ও দখলবাজি চলছে প্রকাশ্যে। গ্রামের মানুষদের মনোবল ভেঙে পড়েছে কারণ তাঁরা মনে করছেন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন বাস্তবে আসছে না।
লেখক উল্লেখ করেছেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন হোক কিংবা জুনে, বিএনপি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ক্ষমতায় এসে যদি আগের মতই রাজনীতি করেন, তবে সেই ক্ষমতা টেকসই হবে না।”
প্রশ্নবিদ্ধ তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান
ঈদের ১১ দিন পার হয়ে গেছে, অথচ তারেক রহমান এখনো দেশে ফেরেননি। লেখকের প্রশ্ন—কেন? যদি দেশে ফিরে তরুণ নেতৃত্ব তৈরি না করা হয়, তাহলে দল দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, “দেশে গিয়ে তরুণদের খুঁজুন, সৎ ও মেধাবী মানুষদের নিয়ে দল গড়ুন। না হলে কিছু চাঁদাবাজ আর দখলবাজ দিয়ে দল পরিচালনা করলে বিলীন হতে সময় লাগবে না।”
অবাস্তব প্রতিশ্রুতি ও জনমানুষের বিরক্তি
বিএনপির এক প্রবীণ নেতা বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে এক কোটি চাকরি দিবেন। অন্যজন বলছেন, জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman) বেঁচে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ হতো না। এসব বক্তব্য জনমনে বিরক্তি তৈরি করছে। লেখক প্রশ্ন তুলেছেন, “এরা কি বাস্তবে আছেন? নাকি এখনো ভাবছেন দেশের মানুষ ২০ বছর আগের মতোই আছে?”
তিনি সতর্ক করে বলেন, এখনকার মানুষ আগের মতো আর সব কথা গিলে না। সমালোচনার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, যেটা রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত।
পরিশেষে—পুনরুজ্জীবনের ডাক
লেখকের পরামর্শ, এখনই সময় বাস্তব মাটিতে নেমে কাজ করার। শুধু বিদেশে বসে বক্তব্য দিলে হবে না। যদি সত্যি টেকসই ক্ষমতা চান, তাহলে মাঠে নামুন, সৎ নেতৃত্ব খুঁজুন এবং দলে সংস্কার আনুন।