চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রীর আত্মসমর্পণের নির্দেশ চেম্বার আদালতের

চেম্বার আদালতের নির্দেশ সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে তামান্নাকে

চট্টগ্রাম (Chattogram) শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতির আদালত এ নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক

আগে হাইকোর্টে আগাম জামিন পেয়েছিলেন তামান্না

এর আগে, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ শারমিন আক্তার তামান্নাকে আগাম জামিন দেন। এ আদেশ দেওয়া হয় গত ৯ এপ্রিল।

ছোট সাজ্জাদ: চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী

২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকা থেকে পুলিশের অভিযানের সময় পালিয়ে যান সাজ্জাদ, যিনি গুলি ছুঁড়ে পালানোর সময় পাঁচজনকে আহত করেন, তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও ছিলেন।

পরবর্তীতে, ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার আগের দিন তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানা-এর ওসিকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন।

সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইনে এবং অন্যান্য অভিযোগে মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।

সাজ্জাদ গ্রেফতার ও জোড়া খুন

সাজ্জাদ গ্রেফতারের পর ৩০ মার্চ বাকলিয়া-র অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে গুলি চালানো হয়। এতে দুই আরোহী নিহত হন। এই ঘটনার পেছনে সাজ্জাদ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্বকে কারণ হিসেবে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে তার অনুসারীরা সরোয়ারের সহযোগীদের ওপর হামলা চালান।

হত্যা মামলায় সাজ্জাদ ও তামান্না হুকুমের আসামি

১ এপ্রিল, নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ এবং তার স্ত্রী তামান্নাকে হুকুমের আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে সাজ্জাদ কারাবন্দি রয়েছেন।