নির্বাচনের আগে সংস্কারের দাবিদাররাই এখন প্রার্থী ঘোষণা করছেন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য

তারেক রহমান (Tarique Rahman) অভিযোগ করেছেন, যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কারের পরে আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছেন, তারাই এখন নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করছেন।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে “৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ও নাগরিক ভাবনা” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া’

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট সীমায় আবদ্ধ বিষয় নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনেরও নিজস্ব সময় রয়েছে এবং সে সময়েই নির্বাচন হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা বলছেন আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, বাস্তবে তারাই এখন বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করছেন। অথচ বিএনপি (BNP) এ ধরনের কোনো কাজ করছে না।’

দ্বিমুখী আচরণে অভিযুক্ত প্রতিপক্ষ

তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিত্ব মুখে বলছেন—আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন; কিন্তু তারা কার্যত তার বিপরীত কাজ করছেন। বিএনপি কখনোই দ্বিমুখী আচরণ করে না।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) ও আমাদের হাজারো নেতাকর্মী কারাগারে থাকা অবস্থায়, বিএনপি তখনই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। যখন দলের লাখ লাখ কর্মী গায়েবি মামলার শিকার, ঘরছাড়া, তখনই আমরা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।’

স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজনীতির বিরোধিতা

তারেক রহমান বলেন, ‘যারা আজ সংস্কারের কথা বলেন, তাদের অনেকেই সরকারপ্রদত্ত সুবিধা ভোগ করছেন—গাড়ি, বেতন, ভাতা, দামি অফিস। এয়ার কন্ডিশনের নিচে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু বিএনপি এসব সুযোগ-সুবিধার মাঝে থেকে সংস্কারের কথা বলেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলেছি রাজপথে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আন্দোলনের পাশাপাশি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনাও করেছি।’

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও পরিবেশ বিষয়ক উদ্যোগ

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিবারভিত্তিক ফ্যামিলি কার্ড, কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড, প্রাথমিক শিক্ষা, ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে—আগামী পাঁচ বছরে ৫০ কোটি বৃক্ষ রোপণ।’

তিনি জানান, সময় ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।