২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-তে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একমাত্র গ্রেফতার হওয়া আসামি কামাল দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে খালাস পেয়েছেন। মামলার বিচার চলাকালে কামাল দৃষ্টিশক্তি হারান এবং তার একটি পা অকেজো হয়ে যায়।
মামলার পটভূমি ও গ্রেফতার
ঘটনার পর শাহবাগ থানা-য় দায়ের করা মামলায় ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটজন লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়। পরে ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি রাতে চকবাজার থানাধীন খাজির দেওয়ান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কামালকে। তিনি সপরিবারে সেখানে বসবাস করতেন এবং পেশায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া
তদন্তে পাওয়া আট আসামির মধ্যে সাতজন অধরা থাকায় কেবল কামালকেই অভিযুক্ত করে পিবিআই ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দেয়। মামলায় ৩৪ জন সাক্ষী থাকলেও মাত্র ৯ জন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের অনুপস্থিতি এবং সাক্ষ্য দুর্বলতার কারণে আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা বিলম্বিত করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়
বিচার চলাকালে কামাল ডায়াবেটিস-জনিত কারণে দৃষ্টিশক্তি হারান এবং তার পায়ে পচন ধরে একটি পা পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শওকত আলী অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।
আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য
আসামিপক্ষের আইনজীবী আনিছুর রহমান বলেন, “কামাল এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ নয়জন সাক্ষীর কেউই কামালের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি।” রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর শরিফ উদ্দিন মামুন বলেন, তিনি নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন এবং বিস্তারিত জেনে মন্তব্য করবেন।