বৈশাখী ড্রোন শোতে উপেক্ষিত ছাত্রদল ও মাদরাসার শহীদরা, উপদেষ্টা ফারুকীর ব্যাখ্যা

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-তে আয়োজিত বৈশাখী ‘ড্রোন শো’তে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধকে স্মরণ করা হলেও চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম-এর নাম না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ছাত্রদলের অভিযোগ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, “দুঃখজনকভাবে শহীদ ওয়াসিম আকরামকে স্মরণ করা হয়নি, যিনি একই সময়ে আবু সাঈদের সঙ্গে শহীদ হয়েছিলেন।” ছাত্রদলের দাবি, এই উপেক্ষা উদ্দেশ্যমূলক এবং সরকারের পক্ষ থেকে শহীদের আত্মত্যাগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা।

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া

এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে বলেন, “আইকনিক ইমেজ বাছাই, স্টোরিটেলিংয়ের ফ্লো এবং ড্রোন শোর সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক শহীদের ছবি রাখা যায়নি। তবে এর মানে এই নয় যে কাউকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “শহীদ ওয়াসিম, যাত্রাবাড়ীর মাদরাসার শহীদ, কিংবা অন্যান্য অনেক শহীদের স্মরণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি এটা আমাদের কষ্ট। তবে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করা, দলীয়ভাবে নয়।”

ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি

ফারুকী জানান, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের এবং বিগত ষোলো বছরের গুম-খুনের শিকারদের স্মরণে নির্মাণাধীন ‘জুলাই জাদুঘর’-এ সব শহীদের তথ্য থাকবে। “এই মানুষদের ত্যাগেই আজকের এই স্বাধীনতা এসেছে, তাদের সবাইকে সম্মানের সাথে স্মরণ করতে হবে,” মন্তব্য ফারুকীর।

সার্বিক প্রতিক্রিয়া

আলোচিত এই ‘ড্রোন শো’ ছিল নববর্ষ উদযাপনের ব্যতিক্রমী আয়োজন, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিরোধ এবং মানবিক বার্তাগুলো তুলে ধরা হয়। তবে শহীদদের উপেক্ষা নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে তা সংস্কৃতি ও ইতিহাস চর্চার দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।