দেশের জন্য পিনাকীর ত্যাগে গর্বিত তার মা: “আমার ছেলে অনেক কষ্ট করে”

দেশপ্রেম ও ত্যাগের প্রতীক হয়ে উঠেছেন প্রবাসে থাকা পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তা একজন মায়ের কাছে যেমন গর্বের, তেমনি উদ্বেগেরও। এক সাক্ষাৎকারে পিনাকীর মা তার অনুভূতির কথা অকপটে তুলে ধরেন।

“আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে”

সন্তানের কষ্ট, সংগ্রাম আর সাহস দেখে গর্বে ভরে উঠেছে পিনাকীর মা। তিনি বলেন, “আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে। সে প্রাণপণে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মা হিসেবে আমার তো খুব ভালো লাগারই কথা।”

কেন প্রবাসে?

পিনাকী একসময় দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। সেই আরামদায়ক জীবন ছেড়ে কেন প্রবাসে যেতে বাধ্য হলেন—জবাবে তার মা বলেন, “এটা তো সবাই জানে। আওয়ামী লীগের (Awami League) ক্রোধ তার উপর ছিল। মেরে ফেলার হুমকি, গুমের হুমকি—এসবই তো ছিল। এমন না যে সে দেশের বাইরে যেতে চাইতো, কিন্তু প্রাণের ভয়েই যেতে বাধ্য হয়েছে।”

প্রবাসে থেকে দেশের জন্য লড়াই

ছেলে যেখানেই থাকুক, দেশ নিয়েই তার ভাবনা—এটাই বলে চলেছেন পিনাকীর মা। তিনি বলেন, “আগস্টের ৫ তারিখে আমি ওর কাছে ছিলাম। দেখলাম কীভাবে সে দেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সে যদি বাংলাদেশকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, আমার তো এরচেয়ে বড় গর্ব কিছু হতে পারে না।”

মায়ের অনুভূতি—দূরত্বের মাঝেও হৃদয়ের সংযোগ

সন্তান প্রবাসে, মা দেশে—এই দূরত্ব কতটা নাড়া দেয়?

পিনাকীর মা বলেন, “দূরত্ব মানে দেহের দূরত্ব। মনের দূরত্ব তো আমাদের নাই। আমরা প্রতিদিন কথা বলি, ভিডিও কলে দেখা হয়। ছয় বছর পরে ওর কাছে গিয়েছিলাম, দেখলাম খুব ভালো আছে। অনেক ভালো আছে।”

অসম্ভব মেধাবী সন্তান

সন্তানের মেধা আর অধ্যবসায় স্মরণ করে গর্বের সঙ্গে মা বলেন, “আমার ছেলে অসম্ভব মেধাবী। কোনো কোচিং ছাড়াই মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। এখনকার দিনে তো কত কোচিং লাগে, কত প্রস্তুতি লাগে! কিন্তু ওর ক্ষেত্রে কিছুই লাগে নাই।”

এই বক্তব্য শুধু একজন মায়ের গর্ব নয়, বরং পিনাকীর সংগ্রামী জীবনের এক বাস্তব দলিল, যেখানে ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও প্রত্যয়ের শক্তিতে এগিয়ে চলছে এক সাহসী বাংলাদেশি।