পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ([Ishaq Dar])–এর আসন্ন ঢাকা সফর ঘিরে আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। সফরের প্রাক্কালে পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল কাইয়ুম ([Abdul Qayyum]) বলেছেন, “ভারত তার পাশে শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রের উপস্থিতি কখনো পুরোপুরি মানতে পারেনি।”
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পুনর্জাগরণ
বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল কাইয়ুম বলেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯০৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ ([All India Muslim League]), যা পরবর্তীকালে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।
তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতেই ইসহাক দার-এর এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূর্ববর্তী সব বিরোধ ভুলে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।
ভারতের ভূমিকায় সমালোচনা
ভারতের ভূমিকায় সমালোচনা করে আবদুল কাইয়ুম বলেন, “ভারত সব সময় দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। বাংলাদেশ আদর্শিকভাবে বরাবরই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ ছিল।”
সফরের সম্ভাব্য এজেন্ডা
এই সফরের প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে তিনি তুলে ধরেন—
– দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে নেওয়ার উদ্যোগ
– নিয়মিত বিমান চলাচল চালু
– ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ
– মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA)
– আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা
চীনের ভূমিকা ও আঞ্চলিক জোট
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নত হলে চীন তা স্বাগত জানাবে, কারণ উভয় দেশই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) ([Belt and Road Initiative])–এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
এই সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক মহলে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে আমনা বালুচ ([Amna Baloch]) এর সফরের আগমনে, যা দুই দেশের মধ্যে এক দশকের বেশি সময় পর এমন উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক যোগাযোগ।