ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নতুন করে ঘোষিত ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইইউর এই পদক্ষেপ মূলত আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আছে কসোভো, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কোতিউনিসিয়া। এই পদক্ষেপ কার্যকর হওয়ার জন্য অবশ্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

ইইউর অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার ম্যাগনার ব্রুনার বলেন, “আশ্রয়ের আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমাদের এখন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

তালিকাটি মূলত তাদের জন্য তৈরি, যারা উল্লেখযোগ্য হারে ইইউতে আশ্রয়ের আবেদন করে কিন্তু বাস্তবে আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। এই দেশগুলো থেকে আসা ব্যক্তিদের আবেদন এখন আগের তুলনায় দ্রুত খারিজের পথে এগোবে।

এই উদ্যোগকে সমর্থন জানালেও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াটি মানবিক বিবেচনা ছাড়াই জোরপূর্বক হতে পারে।

অভিবাসন কমিশনের মতে, ভবিষ্যতে তালিকাটি পর্যালোচনা করে নতুন দেশ যুক্ত বা বাদ দেওয়া হতে পারে, তবে সদস্য রাষ্ট্রেরা নিজেরা কেবল নতুন দেশ যুক্ত করতে পারবে, কোনো দেশ বাদ দিতে পারবে না।

ইইউর অভিবাসন নীতিতে এই পরিবর্তনের পেছনে রাজনৈতিক চাপও রয়েছে। অভিবাসীবিরোধী মনোভাব কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী দলগুলোর উত্থান ইইউকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করছে।

তবে সংঘাতকবলিত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলে ইইউ জানিয়েছে। যেমন ইউক্রেন-এর পরিস্থিতি ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেও ইইউ একই ধরনের একটি ‘নিরাপদ দেশ’ তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিল, তবে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্কের জেরে সেই উদ্যোগ বাদ দেওয়া হয়।