বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল ও সাবেক ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ বিজয়ী মেঘনা আলম কে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ধানমন্ডি থানা। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালতে হাজির করা হলে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল তাকে ৩০ দিনের জন্য কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয় বিশেষ ক্ষমতা আইনে। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিবি পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় আটকাদেশের আবেদন করে।
আদেশে বলা হয়, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাকে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় আটক করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পেছনের ঘটনা ও লাইভ ভিডিও
এর আগের দিন, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করছেন। ১২ মিনিটের ওই লাইভ চলাকালে পুলিশ প্রবেশের পরপরই ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে সেটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়।
পটভূমি ও অতীত পরিচিতি
মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে প্রতারণা চালাতেন তিনি।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের প্রেক্ষাপট
ডিটেনশন আইনের আওতায় সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক করতে পারে। সাধারণত এটি জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়।