সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী ও মডেল মেঘনা আলম (Meghna Alam) বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) আদালতে জানান, “কেবল সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা (Saudi Ambassador Isa)–র সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, আর কারো সঙ্গে না।”
এদিন তাকে ধানমন্ডি থানায় (Dhanmondi Police Station) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়ার আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন।
আদালতে দেওয়া বক্তব্য
মেঘনা আলম বলেন, “আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। এখানে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, যে কেউ কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?” এরপর তিনি বলেন, “আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি কোনো আইনজীবী পাবো না। ইসার সঙ্গেই শুধু আমার সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে নয়। তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসা অভিযোগ করেছেন, আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা সত্য নয়। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে বলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুর রহমান–এর সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করি। এরপরই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।”
মামলার প্রেক্ষাপট
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে তাকে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (Omar Faruk Faruki) জানান, “এই চক্র অভিনব কৌশলে বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের হানিট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করার অভিযোগ রয়েছে।”
এর আগে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এক মাসের জন্য কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিদেশি কূটনীতিকদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।