মেয়ের বাগদত্তার সঙ্গে পালালেন মা, জানালেন— “আমিই তাকে বিয়ে করব”

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড় জেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মেয়ের বিয়ের মাত্র ১০ দিন আগে তার হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়েছেন মা স্বপ্না। আত্মসমর্পণের পর তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “আমিই রাহুলকে বিয়ে করব।”

ঘটনা বিস্তারিত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিইন্ডিয়া টুডে জানায়, গত ৬ এপ্রিল রাহুল কুমার-এর সঙ্গে পালিয়ে যান তার হবু শাশুড়ি স্বপ্না। তারা প্রথমে লখনৌ ও পরে মুজফ্ফরপুরে গিয়েছিলেন। দেশজুড়ে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ঘটনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) তারা দাদোন থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

আত্মপক্ষ সমর্থন

স্বপ্না বলেন, “আমার স্বামী জিতেন্দ্র কুমার মদ খেয়ে মারধর করতেন, আর মেয়ে শিবানী নিয়মিত ঝগড়া করত। তাই আমি বাধ্য হয়ে রাহুলের সঙ্গে পালিয়েছি।”

অন্যদিকে, শিবানী অভিযোগ করেন, স্বপ্না বাড়ি থেকে সাড়ে ৩ লাখ রুপি ও ৫ লাখ রুপির গয়না নিয়ে গেছেন। স্বপ্না এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার সঙ্গে কেবল একটি মোবাইল আর ২০০ রুপি ছিল।”

রাহুলের বক্তব্য

রাহুল কুমার জানান, “স্বপ্না আমাকে বলেন— যদি আমি আলিগড় বাসস্ট্যান্ডে না যাই, তিনি আত্মহত্যা করবেন। তাই আমি গিয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “স্বপ্নার স্বামী ও পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।”

তবে স্বপ্নার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, তিনি আর পরিবারে ফিরতে পারবেন না। তার দুলাভাই দিনেশ বলেন, “আমরা ওকে চাই না। শুধু চাই, ও যা টাকা ও গয়না নিয়ে গেছে তা ফেরত দিক।”

বিয়ে করবেন কি না?

সাংবাদিকদের প্রশ্নে রাহুল শুরুতে দ্বিধায় থাকলেও পরে বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিয়ে করব।”

আইনি দৃষ্টিকোণ

এখনো আলিগড় জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান।

প্রেক্ষাপট

এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় এবং দেশজুড়ে হাস্যরস, ক্ষোভ ও তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।