দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে উঠে এসেছে ১৯৭১ সালের গণহত্যা প্রসঙ্গ। বৈঠকে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার জন্য পাকিস্তান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পক্ষে অংশ নেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও নতুন আলোচনা
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জসিম উদ্দিন জানান, “বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। বিশেষ করে একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলা, সরাসরি ফ্লাইট চালু, উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সমাধানের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।”
শিগগিরই চালু হবে সরাসরি ফ্লাইট
বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়। শিগগিরই এই রুটে ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, “এই ধরনের যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়ন সহজ হবে।”
দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়ার আশা
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।” তিনি খাবার ও আতিথেয়তার প্রশংসাও করেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে ইসলামাবাদে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর এই আলোচনাকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।