বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যা করেছে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণে জাতি হতাশ হয়েছে। তিনি অবিলম্বে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেছেন।
‘ফ্যাসিবাদের জুলুম ধরে রাখা যাবে না’
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) খুলনা মহানগর জামায়াত-এর আয়োজনে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবির-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করে বিচারিক হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এটিএম আজহারুল ইসলামকে এখনো আটক রাখা জাতির কাছে বিস্ময়কর।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যহীন উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু পক্ষপাতমূলক মুক্তি নীতিতে জাতি হতাশ। জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত দিতে হবে, না হলে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামবে জামায়াত।”
জামায়াতের দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্দোলনের প্রস্তুতি
অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতারা বলেন, জামায়াতের কর্মীদের ইমানদার, দায়িত্বশীল ও সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধে রুকনদের কুরআনের গুণাবলী ধারণ করে সমাজে আলোকিত ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে খুলনা মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “জামায়াতে ইসলামী সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। সংগঠনের শক্তি বাড়াতে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।”
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, অধ্যাপক নজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শাহ আলম, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, এবং আরও অনেকে।
তারা বলেন, জামায়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ফ্যাক্টর। সংগঠনের শক্তিশালী নেতৃত্ব ও গণভিত্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারই হবে ভবিষ্যৎ লক্ষ্য।