সাংবাদিক ও লেখক মাহমুদুর রহমান (Mahmudur Rahman) তার সাহসী ভাষণে এক দশক আগেই শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের দুঃশাসনের দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন, যা আজ বাস্তব বলে বিবেচিত হচ্ছে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।
তার প্রকাশিত বিভিন্ন কলাম, বক্তৃতা এবং টেলিভিশন আলোচনায় তিনি সতর্ক করেছিলেন দেশে গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং প্রশাসনের দলীয়করণ নিয়ে। তার এসব ‘ভবিষ্যদ্বাণীমূলক’ বক্তব্য এখন আবার আলোচনায় এসেছে, বিশেষ করে বর্তমান সময়ে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা নতুন মোড় নেওয়ায়।
সাহসী উচ্চারণে আলোচিত মাহমুদুর
মাহমুদুর রহমান বারবার সতর্ক করেছেন যে একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ, যেখানে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিচারব্যবস্থা পড়েছে চাপে। তার সেই সময়কার বক্তব্য এবং বাস্তবতার মিল দেখে অনেকেই বলছেন—“তিনি যা বলেছিলেন, সেটাই হয়েছে।”
শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচনা
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত দলীয় প্রভাবের বাইরে রাখতে পারেনি। বিরোধী মতকে দমন করা, গুম, খুন এবং ভয়ের সংস্কৃতি তৈরির অভিযোগও তার লেখনী ও বক্তৃতায় উঠে এসেছে।
রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা
আমার দেশ (Amar Desh) পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাহমুদুর রহমান বহুবার আইনি ও রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন। তার কারাবরণ, সংবাদপত্র বন্ধ এবং ব্যক্তিগত হয়রানি সবই তাকে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক করে তুলেছে বলে সমর্থকদের দাবি।