[ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর হাড়ে হাড়ে শিক্ষা হয়েছে: মন্তব্য হাসনাত আবদুল্লাহর]

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party)–র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) বলেছেন, শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করলেই কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা এর অঙ্গসংগঠন থেমে যায় না—এটা প্রমাণ হয়েছে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, “নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরও তারা উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছে, মিছিলে অংশ নিচ্ছে, জামিনে মুক্ত হচ্ছে—এই বাস্তবতায় শুধু নিষিদ্ধকরণ নয়, দরকার বিচার ও কঠোর পদক্ষেপ।”

“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে বিচারিক রায়ে”

হাসনাত আবদুল্লাহ মনে করেন, আওয়ামী লীগ (Awami League) এবং তাদের অঙ্গসংগঠনকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই চলবে না, তাদের নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার মতে, “জুলাই গণহত্যার” সঙ্গে যুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে সংগঠন হিসেবেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে।

তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল (Nuremberg Trials)–এর উদাহরণ টেনে বলেন, “যেভাবে নাৎসি পার্টিকে অপকর্মের দায়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেভাবেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে।”

“শুধু নিষিদ্ধের কাগজে কিছু হয় না”

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তাদের প্রকাশ্য উপস্থিতি ও পুলিশি অভিযানে অকার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে হাসনাত লেখেন, “এই কাগজটা যে একটা ইউজলেস ত্যানা ছাড়া কিছু না, সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।”

তাই তিনি বলেন, মূল দাবি হওয়া উচিত—আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা ও তাদের বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা।

“ডি-আওয়ামীকরণ”–এর আহ্বান

হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে বলেন, “এইবার ভুল না করে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি ধ্বংস করে বাংলাদেশে ‘ডি-আওয়ামীকরণ’ করতে হবে—যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ডি-নাজিফিকেশন করা হয়েছিল।”

এই পোস্টে তিনি তার দলের যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল (Arif Sohel)–এর লেখা উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহার করেন।