প্রশাসন কার পক্ষে—বিএনপি ও এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বিতর্ক

বিএনপি (BNP) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party)–এনসিপির মধ্যে প্রশাসনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। একপক্ষ বলছে প্রশাসন বিএনপি’র পক্ষ নিচ্ছে, আরেকপক্ষ বলছে এনসিপিই এখন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ।

এনসিপি বলছে: প্রশাসন বিএনপি ঘেঁষা

নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam), এনসিপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপদেষ্টা বলেন, দেশের অনেক জায়গায় প্রশাসন এখন বিএনপি’র পক্ষে কাজ করছে। এমন প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে চাঁদাবাজি ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা প্রমাণ করে, প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট।

বিএনপি’র পাল্টা দাবি: প্রশাসন আসলে এনসিপির ঘনিষ্ঠ

রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi), বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব দাবি করেন, প্রশাসনের সঙ্গে আসলে এনসিপি’রই সম্পর্ক বেশি। তিনি বলেন, “এটা ইউনূস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তারা (এনসিপি নেতারা) সরকারের অংশ হয়েছেন, তারা এখন এ ধরনের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।”

প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে দ্বিমত

এনসিপির আরিফুল ইসলাম আদীব (Ariful Islam Adib) মনে করেন, আমলারা সবসময় সম্ভাব্য ক্ষমতাসীনদের দিকে ঝুঁকে থাকেন। তার মতে, প্রশাসন এখন বিএনপি’র সম্ভাব্য জয়ের চিন্তা করেই নমনীয় আচরণ করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন (Reform Commission)–এর সুপারিশ না মেনে, বিএনপি প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী কাজ করছে।

সাবেক সচিব বলছেন, এটি রাজনৈতিক বক্তব্য

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান (Abu Alam Shahid Khan) বলেন, নাহিদের মন্তব্য রাজনৈতিক। তিনি বলেন, “যদি প্রশাসন বিএনপি ঘেঁষা হয়, তার দায় অন্তর্বর্তী সরকারের, যারা এখন ক্ষমতায়। এমন মন্তব্য সরকারের প্রতি নেতিবাচক বার্তা পাঠায়।”

উপদেষ্টাদের মন্তব্য না পাওয়া গেলেও বিতর্ক বাড়ছে

বিবিসির পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan) ও আসিফ মাহমুদ সজীব (Asif Mahmud Sajib)–এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য মেলেনি।