রাজশাহী (Rajshahi) জেলার তানোর (Tanore) উপজেলায় তিন দম্পতির সংসারে জমেছে ভিনদেশি বউয়ের নতুন গল্প। মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন থেকে এসে প্রেমের টানে বিয়ে করে এখানেই গড়েছেন সংসার। কেউ কেউ আবার বিদেশে পাড়ি জমিয়ে ঘর আলো করে ফিরেছেন সন্তানসহ।
মালয়েশিয়ান স্যান্ডির প্রেম-পরিণয়
জুলফিকার (Julfikar), রাজশাহী মহানগরীর বিনোদপুর এলাকার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। প্রায় আট বছর আগে মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার জন্য গিয়ে পরিচয় হয় স্যান্ডি নামের এক তরুণীর সঙ্গে। প্রেমের পরিণতি ঘটে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই ধর্মীয় রীতিতে বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের পর কিছুদিন রাজশাহীতে থেকে তারা চলে যান মালয়েশিয়ায়। বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সেখানেই একটি দোকান চালাচ্ছেন জুলফিকার। স্ত্রী স্যান্ডি ধর্মান্তরিত হয়ে এখন পরিচিত আলিশা অ্যানি নামে।
ফিলিপিনো খাদিজা ও রাকিবুলের সংসার
রাকিবুল ইসলাম (Rakibul Islam), তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (Kamargram Union) কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ফিলিপাইনের জাম্বোয়াঙ্গা উপদ্বীপের রিজেল ক্লিয়ার (বর্তমানে খাদিজা ইসলাম)-এর সঙ্গে। খাদিজা সৌদি আরবে চাকরি করতেন। ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশে এসে পরদিন বিয়ে করেন রাকিবুলকে। বর্তমানে তারা গ্রামে বসবাস করছেন।
সিঙ্গাপুর থেকে শুরু, তানোরে গাঁটছড়া
তানোরের মালশিরা গ্রামের রেজাউল করিম (Rezaul Karim) ও ফিলিপাইনের বাগো শহরের চারিনা মলিন (বর্তমানে মরিয়ম খাতুন) কাজ করতেন সিঙ্গাপুরে। সেখানেই পরিচয় ও প্রেম। ২০২২ সালের আগস্টে মরিয়ম বাংলাদেশে এসে রেজাউলকে বিয়ে করেন মুসলিম রীতিতে। বর্তমানে তারা তানোরে বসবাস করছেন।
প্রতিবেশীদের চোখে
স্থানীয়রা জানান, এসব বিদেশি বধূরা সাধারণত গ্রামে খুব একটা বের হন না, কথা বলেন না কারো সঙ্গে। তবে নিজের সংসার নিয়ে ভালো আছেন সবাই। পরিবার ও এলাকাবাসীর আশা, নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তারা একসময় হয়ে উঠবেন পুরোপুরি দেশি।