জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party) জানিয়েছে, তারা এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা চায় যেখানে গ্রামের মসজিদের ইমাম ও স্কুলের শিক্ষকদের মতো সাধারণ পেশাজীবীরাও সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে এই দাবি জানিয়েছে দলটি।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন-এর সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চাই যেখানে গ্রামের ইমাম বা স্কুলশিক্ষকও পার্লামেন্টে যেতে পারবেন। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসি থাকবে কি থাকবে না তা নির্ভর করবে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের উপর।”
অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রস্তাব
বৈঠকে এনসিপি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়নের দাবি জানায়। এছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করে তারা:
- গত তিনটি নির্বাচনে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
- গেজেট প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের সার্টিফিকেশন দিতে হবে
- অতীতে ঋণখেলাপিদের ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ পুনর্মূল্যায়নের প্রস্তাব
নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “আমরা বলেছি, ঋণখেলাপিদের ক্ষেত্রে মামলা তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে ইসি সম্মতিও প্রকাশ করেছে।”
নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন
২০ এপ্রিল ছিল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের শেষ সময়। তবে এনসিপি ইতোমধ্যে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে এবং জানায়, তারা নব্বই দিন সময় বাড়াতে চায়। এই বৈঠক ছিল তাদের প্রথম বৈঠক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর পর।
**বৈঠক সময়সীমা
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।