প্রথম আলো ভারতের হয়ে কাজ করে—প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ হাসনাত আব্দুল্লাহর

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah) দেশের অন্যতম গণমাধ্যম প্রথম আলো (Prothom Alo)–কে “তথ্যসন্ত্রাসে” লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক তীব্র প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে তার বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।


“বিলাসী জীবন” প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ হাসনাতের

প্রথম আলোর প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি ওই সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানাই আমার বাসায় এসে দেখুক আমি কেমন বিলাসি জীবনযাপন করি। দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন আমাকে থামাতে পারবেন, তাহলে ভুল করছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যদি বিলাসিতা করতে চাইতাম তাহলে আপনাদের মতো ভারত বা ‘র’ এর তাবেদারি করেই মন্ত্রী হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন, ভারত ও র-এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না।”


“ভারতের চক্রান্তে প্রোপাগান্ডা”

হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘’ (RAW)–এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণেই এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “র-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমার বিরুদ্ধে এই প্রতিবেদন প্রকাশ, কাকতালীয় হতে পারে না।”


তদন্ত চেয়ে রাজনীতি ছাড়ার চ্যালেঞ্জ

নিজেকে “ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ” দাবি করে তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

তিনি বলেন, “আমার ব্যাংক ব্যালেন্স, ট্যাক্স রিটার্ন—সবকিছুই জনসমক্ষে অ্যাকসেসযোগ্য। কেউ চাইলে যাচাই করতে পারে। কিন্তু প্রথম আলো সেটা করেনি। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা হয়েছে।”


“প্রথম আলো বারবার দেশপ্রেমিকদের আক্রমণ করেছে”

প্রথম আলো–কে ভারতের হয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে তিনি লেখেন, “ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়িয়েছে, প্রথম আলো তাদেরকেই আক্রমণের টার্গেট বানিয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন।”


“আমি থামবো না, আওয়ামী লীগ ফিরবে না”

আওয়ামী লীগ নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরে তিনি লেখেন, “আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোনো উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দেব না। যতদিন দেহে প্রাণ আছে, ততদিন আওয়ামী লীগ ও ভারতের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বলেই যাব।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদেরকে মেরে না ফেললে ভারত, র ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই চলবে ইনশাআল্লাহ।”